সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
কিছুদিন আগেই সোশ্যালে ছড়িয়ে পড়েছিল রাবিনা ট্যান্ডনের একটি হেনস্তার ভিডিও। সেই ভিডিওর নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি মুখও খুলেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। এবার সেই কাণ্ডে নেটিজেনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানির মামলা করলেন রাবিনা। যে ব্যক্তি তার ভিডিও সোশ্যালে পোস্ট করেছিলেন, তার নামেই মামলা ঠুকলেন অভিনেত্রী।
মধ্যরাতে বান্দ্রার রাস্তায় রাবিনা ট্যান্ডনের গাড়ি থামিয়ে চড়াও হন তিন নারী। দাবি করেন, রাবিনার গাড়ি নাকি তাদের ধাক্কা মেরেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে অভিনেত্রীকে মারতে পর্যন্ত উদ্যত হন ওই নারীরা। এই ঘটনার পর থেকেই সোশ্যালে রাবিনাকে নিয়ে নানা কটাক্ষ করেন নেটিজেনদের একাংশ। তাদের দাবি স্টার তকমা নিয়ে সাধারণের সঙ্গে এমন ব্যবহার তার। এমনকী, কেউ কেউ সালমান খানের গাড়ি কাণ্ডের সঙ্গেও তুলনা টেনেছেন।
সেই ওরিকে বিয়ে করছেন উরফি? সেই ওরিকে বিয়ে করছেন উরফি?
সোশ্যালে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা এবং সমর্থন দেওয়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে শেষ পর্যন্ত এই গল্পের মূল কথা কী দাঁড়াল জানেন? ড্যাশক্যাম ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখুন।
ওই নারীদের অভিযোগ, রাবিনা ট্যান্ডনের গাড়ির ধাক্কায় নাকি তাদের মধ্যে একজনের রক্তপাত হয়েছে। তার জেরেই বচসা বাঁধে দু’পক্ষের। এদিন রাতে ঝামেলা শুরু হওয়ার পরই রাবিনা গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। এদিকে অভিনেত্রীকে দেখেও ওই নারীরা প্রায় রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। তখনই বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। রাবিনার দিকে তেড়ে যান তারা। ভয় পেয়ে তিনি খানিক পিছিয়েও যান। কাতরভাবে আর্জিও জানাতে থাকেন, “ধাক্কা দেবেন না দয়া করে, আমাকে মারবেন না।”
সিনেমা চালানোর জন্য মন্ত্রীকে দিয়ে ফোন করিয়েছিলেন বুবলী!সিনেমা চালানোর জন্য মন্ত্রীকে দিয়ে ফোন করিয়েছিলেন বুবলী!
সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত আপাতত সোশ্যালে ভাইরাল। রাবিনার পরনে ছিল সাদামাটা পোশাক। মেকআপের লেশমাত্র নেই! সেখানেই জনৈক নারীকে অভিনেত্রীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, “দেখুন আমার নাক থেকে রক্ত বেরচ্ছে। আজকের রাতটা জেলেই কাটাতে হবে আপনাকে।”
চড়াও হওয়া ওই নারীদের অভিযোগ, অভিনেত্রী সেই সময়ে মদ্যপ ছিলেন। অনতিদূরেই খার থানা। বচসার পর রাবিনা ট্যান্ডন এবং তার চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তারা। ঘটনার জেরে থানায় ছুটে যান রাবিনার স্বামী তথা জনপ্রিয় ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর অনিল থাড়ানিও।
ভয়েস/আআ